Sunday, June 5, 2011

বাংলাদেশের পেনশন নীতি মালা......এবঙ কিছু প্রস্তাবনা...........


ছেলে আমার মস্ত বড়, মস্ত অফিসার
মস্ত ফ্লাটে যায়না দেখা এপার ওপার
স্বামী-স্ত্রী আর এলসেশিয়ান, জায়গা বড় কম
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম।।
নচিকেতার গানের এই বৃদ্ধের কপালে বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় মিললেও আমাদের দেশের বেশীরভাগ বৃদ্ধের কপালে তাও জুটেনা।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোন জাতীয় পেনশন নীতি মালা নেই। সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য পেনশনের ব্যবস'া থাকলেও নাই কোন সম্বলিত নীতিমালা। স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য রয়েছে তাদের নিজস্ব নীতিমালা, তবে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য নাই কোন নীতিমালা। নীতিমালা যা আছে তা যেমন অপ্রতুল আবার পেনশন তহবিল ব্যবস'াপনার বিষয়ে আদৌ কোন নীতিমালা নেই। ফলে সরকারী প্রতিষাঠানের পেনশন তহবিল বেশীরভাগ ড়্গেত্রেই অব্যবহৃত অলস পরে থাকে আবার স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলির পেনশনতহবিল উৎপাদনশীল কোন খাতে বিনিয়োগ না করে বন্ড ক্রয় বা ব্যাংকে স'ায়ী আমানত হিসেবে গচ্ছিত বা ঝুকিমুক্ত বিনিয়োগে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ফলে পেনশন তহবিল যেমন দেশের অর্থনীতিতে তেমন কোন অবদান রাখতে পারেনা বরং কিছু মুদ্রাস্ফীতি ঘটায়।
জাতীয় পেনশন কমিশন বা এনপিসিNational Pension Commision-NPC
স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এনপিসি গঠিত হবে। এজন্য দরকার জাতীয় পেনশন নীতি মালা। এনপিসির লক্ষ্য হবে দেশের সমস্ত জনগনকে পেনশনের আওতায় নিয়ে আসা। এলড়্গ্যে এনপিসির কাঠামো হবে নিম্নরূপ:
১.         বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিনিয়োগ সেল বা পিআইসি। সর্বাধিক লাভ জনক খাতে পেনশন তহবিল বিনিয়োগের জন্য।
২.         পেনশন ব্যাংক বা এনপিবি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেনশনারদের যাবতীয় ব্যাংকিং সেবা প্রদানসহ বানিজ্যিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করবে।
৩.         পেনশনার কল্যাণ ট্রাস্ট বা পিডবিস্নউটি। পেনশনারদের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
পেনশন তহবিল সংগ্রহ:
১.         প্রত্যেক সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের পেনশন তহবিলের টাকা নিয়মিত ভাবে এনপিসিতে জমা করবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি বাধ্যতামুলকভাবে তাদের কর্মীদের বেতনের একটা নির্দিষ্ট অংশ এনপিসিতে জমা করবে।
২.         যে কোন স্বাধীন পেশার ব্যক্তিগণ তাদের স্বামর্থ ও ইচ্ছানুযায়ী পেনশন পলিসি ক্রয় করতে পারবে।
পেনশন তহবিলের ব্যবহার:
১.         পেনশন বিনিয়োগ সেল এর মাধ্যমে পেনশন তহবিল ঝড়পরধষষু জবংঢ়ড়হংরনষব ঈধঢ়রঃধষ হিসেবে প্রতিযোগীতামূলকভাবে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করবে।
২.         পেনশনারদের জন্য ন্যায্যমূল্যের দোকান, যানবাহন, আবাসস'ল নির্মান করবে যা বানিজ্যিকভাবে চলবে তবে পেনশনারদের জন্য বিশেষ অগ্রাধিকার থাকবে।
৩.         সরকার সাময়িক প্রয়োজনে এই তহবিল হতে ধার নিতে পারবে ফলে ব্যাংকিং চ্যানেল হতে সরকারের ঋণ নেওয়ায় বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহে যে নেতিবাচক প্রভাব পরে তা আর পরবেনা।
৪.         বড় এবং দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগের জন্য পিপিপি এর আওতায় এই তহবিল ব্যবহৃত হতে পারে।
৫.         পেনশনারদের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে পেনশন তহবিল ব্যবহৃত হবে।

No comments:

Post a Comment