Sunday, June 5, 2011

বাঙলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কিছু প্রস্তাবনা...


প্রস্তাবিত শিক্ষা কাঠামো
১থেকে৫= মৌলিক =বাড়িতে
৬থেকে১০= প্রাথমিক=বিদ্যালয়ে
১১থেকে১৩=মাধ্যমিক )মোট ৮বছরের বাধ্যতামুলক শিক্ষা)
১৪থেকে১৫=উচ্চমাধ্যমিক
১৬থেকে১৮=সম্মান
আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন সময় ব্যয় করছি শিক্ষা গ্রহণ করতে। আমার এ জীবন অত্যন্ত মূল্যবান অন্তত আমার নিজের কাছে, কারণ এ জীবন একবারই, শোধরানোর কোন সূযোগ নেই। তাই আমার এই জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় কেন আমি শিক্ষার পিছনে ব্যয় করব তা আমার জানা দরকার, আমার জানা দরকার কেন আমি শিখব, কেন আমার এই গুরুত্বপূর্ন সময় শিক্ষার জন্য প্রয়োজন। আমার এই কেন গুলির উত্তর জানা দরকার শিক্ষার খাতিরেই, কেননা তাহলে শিক্ষা আরও সাবলীল হবে,লক্ষ্য যত পরিষ্কারভাবে জানা থাকে সেখানে পৌাছানোর সম্ভানাও তত বেশী। তাই সবার আগে জানা দরকার কেন আমি জানব, কি জানব, কিভাবে জানব ইত্যাদি, ইত্যাদি..।
কেন এই প্রশ্নঃ
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস'া ও এর কার্যকারিতা বিবেচনায় এ কথা ভাবা অযৌক্তিক নয় যে আমরা এখন যত বছর প্রাতিষ্ঠানিক শ্‌িকবষার পিছনে ব্যয় করে যতকিছু শিখি তা অণ্য কোন উপায়ে আরও কম সময়ে শেখা যায় কিনা। আর বর্তমান শিক্ষার দৃশ্যমান ফলাফলইবা কি, যে লক্ষ্যের কথা বলা হয় বাস্তবতা কি তা জানে, জানলে কতটা ও কিভাবে। তার আগে আসুন বর্তমান ব্যবস'ায় একজন শিক্ষার্থী গড়পড়তায় শিক্ষার পিছনে কি ত্যাগ করে।
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস'ার প্রধান বৈশিষ্টাবলীঃ
বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস'ায় একজন ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা পর্যন্ত প্রায় বিশ বছর শিক্ষাগ্রহনের জন্য প্রত্যক্ষভাবে ব্যয় হয়। জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন এই বিশ বছর খরচ করে একজন ছাত্র যে জ্ঞান অর্জন করে, তা করতে আসলেই কি ঐ পরিমান সময় লাগে? এর চেয়ে কম সময়ে ঐ জ্ঞান অর্জনের পদ্ধতিগত উন্নয়ন কি সম্ভব?
প্রচলিত আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস'ায় শিক্ষা গ্রহণও প্রদান পদ্ধতি বেশীর ভাগ সময়ই ক্লাশের লেকচার ও পাঠ্যবই/নোট এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। শিক্ষাগ্রহণ শিক্ষার্থীদের নিকট ক্লান্তিকর। আবার শিক্ষনীয় বিষয় নির্ধারনে রয়েছে যৌক্তিকতার অভাব। সর্বপরি শিক্ষা পদ্ধতি এমন যাতে পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন ইন্দ্রিয়ের সর্বাধিক ব্যবহার হয়না শিক্ষা গ্রহনে।
এটা প্রমানিত সত্য যে মানুষ দর্শনের সাহায্যে সবচেয়ে বেশী তথ্য গ্রহণ করে, সুতরাং শিক্ষা ব্যবস'া হওয়া উচিৎ যতবেশী সম্ভব দর্শন নির্ভর। এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার জ্ঞানার্জন প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর,দ্রুততর করার যেতে পারে। পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে মস্তিষ্ক প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য যোগার করে তা সুবিন্যস্ত করে জ্ঞানে পরিণত করে।
উপরের প্রস্তাবনার প্রেক্সিতে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস'ায় আমরা প্রায় বিশ বছরে যে জ্ঞান অর্জন করি তা পনের বছরেই অর্জন করা সম্ভব। জীবন থেকে এই পাচ রবছর সাশ্রয় করা গেলে সেই সময় ইন্টার্নশীপ বা পেশাগত শিক্ষায় ব্যয় করা হলেকর্মজীবন আরও সহজ ও সুন্দরভাবে শুরু করা যাবে। একজন মানুষের সমস্ত ক্ষমতাকেই কাজে লাগানোর সূযোগ থাকা উচিৎ। এজন্য সময়ের কাজ সময়ে করা দরকার, কারণ মানুষের সকল ক্ষমতা সকল সময়ে একই থাকেনা। এ ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল এডুকেশনের ব্লেন্ডেড লার্নিং, মিক্সড মোড টেকনোলজি ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।

No comments:

Post a Comment