স্বাধীনতা, মূল্য বোধ, প্রজ্ঞা, নীতি বোধ ইত্যাদি বিমুর্ত ধারণা গুলি যতক্ষন না উপলব্ধি করা যায় ততক্ষন তা অর্থহীন। এই বিষয় গুলি ভাষায় প্রকাশ করার জন্য প্রচণ্ড শব্দ সংকট এবং তা সব ভাষাতেই।
অক্ষর দিয়ে শব্দ হয়
শব্দ দিয়ে বাক্য হয়
বাক্য দিয়ে ঘটনা হয়
ঘটনা দিয়ে গল্প হয়
গল্প দিয়ে জীবন হয়
জীবন দিয়ে কাব্য হয়।
মানুষের কর্ম নির্ধারিত হয় ইচ্ছা দ্বারা আর ইচ্ছা নির্ধারিত হয় পারিপার্শ্বিকতা দ্বারা। এই বিশ্ব ভ্রম্মান্ড সুষম আনতশৃংখল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, মানুষ ও তার মন ও এই শৃংখলার অধীন। বিশ্বে যা কিছু আছে সবই নির্দিষ্ট অবস'ানে নির্দিষ্ট ভ'মিকা পালনরত।
বাংলাদেশের নীতি নির্ধারনের যে নীতি তা কখনোই নীতি নির্ভর হতে পারেনি, ব্যক্তি নির্ভরতা, গোষ্ঠী নির্ভরতা, দল নির্ভরতা, ধর্ম নির্ভরতা, এনজিও নির্ভরতা, দাতা নির্ভরতা ছেড়ে কখনো নীতির স্বাধীনতা থাকেনি, যা ছাড়া কোন জাতির পরাধীনতা ঘুচেনা, ‘মুক্তি’ থাকে অবরুদ্ধ, সৃষ্টি হয় দাসত্ব। তাই নীতি নিয়ে নীতি কথা আর নয়, সবার আগে চাই নীতি নির্ধারণের নীতি, তাহলে নীতিই নির্ধারণ করবে নীতির প্রগতি।
নিজেকে আমি কোন শ্রেণীতে বিভক্ত করতে পারিনা। আসলে আমি কি প্রেমিক না বিপ্লবি? সৎ নাকি অসৎ? দেশ প্রেমিক নাকি দেশদ্রোহী? নিজেকে পারিনি এসমাজের নীচতা-শঠতা, ংিসা-লোভ, স্বার্থপরতা-পরশ্রীকাতরতা থেকে মুক্ত করতে আবার দুঃখীর শোকে, অসহায়ের ডাকে বিবেক একেবারে থেমে থাকেনি। আপন চেতনাকে পারিনি মানবতার হাতে সপে দিতে কিন' ভুলতে পারিনি শোষক আর শোষিতের পার্থক্য।
কবিতা হচ্ছে মানুষ ও প্রকৃতির মাঝে সেতু বন্ধন। প্রকৃতি চলে তার নিজস্ব নিয়মে, কবিতা মানুষকে প্রকৃতির সাথে মিশিয়ে দেয়, ফলে মানুষ কবিতার মাধ্যমে খুব সহজেই প্রকৃতির কাছ থেকে প্রকৃতির নিয়ম শিখতে পারে। প্রকৃতি চলে প্রকৃতির নিয়মে, মানুষকে প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়, অন্যথা হলে প্রকৃতি নিজেই ব্যবস'া নেয়। কারণ প্রকৃতির নিয়ম হলো সাম্য আর কবিতা মানুষকে প্রকৃতির এই সাম্য শিক্ষা দেয়।
No comments:
Post a Comment