শক্তি অবিনশ্বর,এর সৃষ্টি বা ধ্বংস নাই,শক্তির কেবল মাত্র রুপান-র আছে। শক্তির ধরন এবং ওুপান-ও সম্পর্কে বিজ্ঞান মোটামুটি জ্ঞান রপ্ত করেছে ,কিন' একটা শক্তি এখনো মানুষের বিবেচনার বাইরেই রয়েছে। আর তা হচ্ছে সময়। উল্লেখ করার মত সময় নিয়ে তেমন কোন গবেষণা হয়নি। কারন সময়কে আমরা স্বতন্ত্র কোন স্বত্ত্বা ভাবিনা। বরং বিজ্ঞানে সময়কে স'ান-কাল-পাত্র নিরপেক্ষ একটা কিছু ভাবা হয়। অনেকে মনে করেন সময়ের অসি-ত্ব কেবল মানুষের মনে। প্রকৃতির অন্যান্য শক্তি সম্পর্কে বিজ্ঞানের অনেক উন্নতি হলেও সময় সম্পর্কে বিজ্ঞান একেবারেই শৈশবে আছে। সময় নিয়ে কেউ সময় কওে ভাবেনা। সময় প্রকৃতিক শক্তিগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা সংগঠিত এবং ক্রিয়াশীল শক্তি। বিজ্ঞানে সময়ের অসি-ত্ব কেবল পরিমান গত ভাবে অনুমান করা হয়,এবং এখন পর্যন- জানিত বিজ্ঞানের তত্ত্ব ব্যাখ্যায় সময়ের কোন দরকার পড়েনা। গত ২০০ বছর যাবৎ বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাগুলিকে একত্রিত করার চেষ্টা চলছে। তাত্ত্বিক বিজ্ঞানীরা একটা ঐকমত্যে এসেছে যে,কোন একটি বা একগুচ্ছ সুত্র দ্বারা এই মহাবিশ্বকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে বিজ্ঞানীরা মহান ঐক্যবদ্ধ সূত্র আবিষ্কারের জন্য নানাবিধ চেষ্টা কওেছেন। হকিং বিশ্বাস করেন বর্তমান বিজ্ঞান এই মহান ঐক্যবদ্ধ সূত্র আবিষ্কারের খুব কাছাকাছি অবস'ান করছে।
আমি বিশ্বাস করি মানুষ হচ্ছে মহাবিশ্বে কেন্দ্রবিন্দু। তাকে কেন্দ্রকরেই সৃষ্টি হয়েছে বাদবাকী সবকিছু। দৃশ্যমান মহা বিশ্ব চলমান ফ্রেমের মত প্রতিক্ষনেই নতুন ফ্রেম পুরাতন ফ্রেমকে প্রতিস'াপন করে। আমরা যে মহাবিশ্ব প্রত্যক্ষ করি তা আদিম মহাবিশ্বের বিবর্তিত রূপ নয়, মহাবিশ্ব প্রতিক্ষনেই নতুন ও পরিবর্তিত। একেটি ফ্রেম পরিবর্তনের ধারা নিয়ন্ত্রন করে। বর্তমানে প্রত্যক্ষকৃত ফ্রেম অতীতের চেয়ে ভিন্নতর ও ভবিষ্যতের নিকটতর। মানুষ অতীতকামী কিন' ভবিষ্যতগামী। মহাবিশ্বের কোন কিছুই বিচ্ছিন্ন ভাবে অস্তিত্বশীল নয় তা ‘সমস্ত’র অংশ। মহাবিশ্বের নিয়ন্ত্রন সামষ্টিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় এবং তার প্রকাশ সময়ে। মানুষের চোখে দৃশ্যমান মহাবিশ্ব ও অদৃশ্যমান ( যা অন্য কিছুর সাহায্যে দৃশ্যমান) তা পরস্পর সমান। মহাবিশ্বের সৃষ্টি শৃংখলে মানুষের অবস'ান মধ্য বিন্দুতে। মানবমনের বিশালত্ব মহাবিশ্বের সমান।
সভ্যতার শুরু থেকেই মানুষ তার নিজের জীবনকে নিজের মত করে বুঝতে চেয়েছে। চেষ্টা করেছে তার চারপাশের যুতসই ব্যাখ্যা দেয়ার। এই তাড়নাই সভ্যতার প্রগতির পেছনের শক্তি। দৃশ্যমান মহাবিশ্ব নিয়ে বিভ্রান্তির কারণ মানুষ এখনো পদার্থের আসল মৌলের কাছাকাছি যেতে পারেনি।
সময়ের ধর্ম বিশৃংখলা সৃষ্টি নয়। এই মহা বিশ্ব সদা চলমান ও পরিবর্তনশীল। কিন' এই পরিবর্তনের নিয়ামক কি?পরিবর্তনের নিয়ামক শক্তির সঙ্গে পদার্থেও সম্পর্ক জানা গেলে কোন নির্দিষ্ট সময়ের মহাবিশ্বকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। আর কোন নির্দিষ্ট সময়ের মহা বিশ্বকে জানা গেলে যে কোন সময়ের মহা বিশ্বকে জানা সম্ভব।
কোন কিছু অসি-ত্বশীল হওয়ার জন্য সময়ের দরকার। আইনেস্টাইন বিশ্বাস করতেন কোন কিছুই আলোকের চেয়ে অধিক গতি সম্পন্ন হতে পারেনা। পদার্থ বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারনে সময়ের সঠিক ওুপ অনুধাবন এখনো সম্ভব হয়নি। সময়ের প্রভাব মধ্যাকর্ষন শক্তির মত বৃহৎ শ্রেনীর বল। ক্ষুদ্র পরিসরে এই বল এতই সুক্ষ যে তা উপেক্ষা করার পরেও বিজ্ঞানের কোন পরীক্ষায় ফলাফলের দৃশ্যমান কোন পরিবর্তন হয়নি। সময়ের সাথে সাথে প্রতিটি বস' পরিবর্তনশীল, এই পরিবর্তন খুবই সুক্ষ কিন' অনিবার্য। শক্তিকে পদার্থে পরিনত করার জন্য তা সময়ে স'ীর হওয়া দরকার।
এই সমীকরণটি সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী লোকের জানা। পদার্থ বিজ্ঞানের ইতিহাসে যুগান-কারী অগ্রগতির সূচনা হয়। গত দুইশত বছর যাবত তাত্ত্বিক পদার্থ বিদেরা একটা ব্যাপাও ঐেক্যমতে আসার চেষ্টা করছেন যে, এই মহাবিশ্ব বিজ্ঞানের একটি মাত্র বা একগুচ্ছ সূত্র দ্বারা ব্যাখ্যা করা সম্ভব, এবং এ পথে বিজ্ঞানের যথেষ্ট উন্নতিও হয়েছে। তন' তত্ত্ব ও কনা তত্ত্ব এই দুই ধারায় অনেকটা হোমিওপ্যাথি এবং এলাপথি এর মত অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। মুলত নিউটনের হাত ধওে তাত্ত্বিক পদার্থ বিদ্যার বিস-ার ঘটে যা আমাদের ব্যবহারিক জীবনে বিজ্ঞানের উপযোগিতা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। বিশেষত সুক্ষ্ণ ইলেকট্রনিক্স বিদ্যার ব্যাপক প্রসার লাভ কেও।
বিজ্ঞানের যে মহান দর্শন সেই বিবেচনায় আইনেষ্টাইনের এই মহান আবিষ্কার সভ্যতার জন্য সর্বাপেক্ষা বৃহৎ একক শক্তিশালী সমীকরণ যা তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানকে দৃঢ় ভিত্তি দিয়েছে।
No comments:
Post a Comment