ওরে বাবা সর্বহারা,হায় হায় জঙ্গী,বাপরে বাপ পুলিশ। নলডাঙ্গা-বাগমারা-আত্রাই জঙ্গীবাদ ও সর্বহারার লীলা ভ'মি। বিগত কয়েক বছর যাবত এই এলাকার তান্ডবলীলা যা কখনো সর্বহারা কতৃক কখনো জঙ্গী কতৃক যা দেশ ও বিশ্ব বাসীকে স্তম্ভিত করেছে।
এই সমস্যার গভীরে যেতে হলে ঐ এলাকার স্বাধীনতা পরবর্তী আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে। আসুন এই দৃষ্টিতে একবার ফিরে তাকাই।
স্বাধীনতা যুদ্ধে এই এলাকার ভ'মিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। ভৌগলিক কারনেই পাক সেনারা এই এলাকায় ব্যপক অভিযান চালায়।সে সময়কার তরুন যুবকেরা্ স্বতস্ফুর্ত ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহগন করে।মূলত তাদের জন্য এর কোন বিকল্প ছিলনা।কারণ অবস'া এমন ছিল য়ে আক্রমন না করলে আক্রান্ত হতে হবে।ফলে এই এলাকার সকল শ্রেণীর মানুষ এমনকি গৃহ বধূরাও মুক্তিযোদ্ধা।অধিকাংশ মানুষই যুদ্ধকালীন সময়ে নিজ বাড়ী তো দুরের কথা আশে পাশেই আসতে পারেনি।ফলে টিকে থাকার জন্যই সবাই যোদ্ধায় পরিণত হয়।স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বেশীর ভাগ মুক্তিযোদ্ধাই অস্ত্র সমর্পন করলেও কিছু সংখ্যক সমর্পন করেনি।এবং অনেকেই স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের কার্যক্রম তাদের প্রত্যাশিত না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ,এর মাঝে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে সর্বহারা তৎপরতা শুরু হলে এই এলাকায় তার একটি প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে।দৃশ্যত তারা বিভিন্ন আদর্শের ভিত্তিতে একত্রিত হজলেও মূলত তারা কেড়ে খাওয়ার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয় যুদ্ধের মঞ্চে বিভিন্ন ভ'মিকা নিয়ে।দৃশ্যত শ্রেণী সংগ্রামের কথা বলে এই অঞ্চলে পেশাজীবি সন্ত্রাসী গ্রুপ গড়ে ওঠে।এদের তৎপরতা ৭৩ ’র শেষ থেকে ৮০পর্যন্ত চোখে পড়ার মত ছিল। এরপর সময়ের প্রয়োজনে বিভিন্ন গ্রুপে মতভেদ দেখা দেয় এবং বিভিন্ন উপদলে পরিণত হয়।এরপর শুরু হয় ত্রিমূখী একশন।গ্রুপগুলো প্রায়ই নিজেদের মধ্যে দ্বন্দে জড়ায় এবং খুন খারাবী হয়।এবং সমাজের বিভিন্ন পেশার লোকজন বিশেষ করে যাদের নামে অবৈধ সম্পদের মালিক হওআর কথা শোনা যায়,তাদের নিকট চাদাবাজী শুরু হয়।যাতে সাধারনের কাছে তাদের শ্রেণী সংগ্রামের তত্ত্ব বিশ্বাসযোগ্য হয়।৮০-৯০সময়কালে এই তৎপরতার গতি কিছুটা শ্লথ ছিল।৯০সালের পর এখানকার প্রায় সকল রাজনৈতিক নেতাই এই সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে ব্যবহার করে সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করে।ব্যাপারটা এমন যে,তাদেরকে চাদা দিতেই হয় ,তারচেয়ে সমজোতার মাধ্যমে দিলে বাড়তি কিছু সুবিধা পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment