সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই তত্ত্বের উপর কেউ ঈমান আনলে জীবিত, মৃত বা অর্ধমৃত কোন মানুষ, গাধা, কুকুর ও বাদরকুলের কেউ সেজন্য দায়ী নয়; আমি নিজেতো নয়ই!
ডারউইন এর বিবর্তনবাদ একদমই ভূয়া, বাদর থেকে মানুষ সৃষ্টি হয়নি! প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্রমান্নয়ে উচ্চ স্তরের প্রানী সৃষ্টি হয়নি!! বরঞ্চ ঈশ্বর এমিবা থেকে ক্রমবর্ধমান উচ্চস্তরের প্রানী সৃষ্টি বাদর সৃষ্টি করে হাত পাকিয়ে সর্বশেষে সকল সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হিসাবে মানুষ সৃষ্টি করেন। ঈশ্বরের অসীম ক্ষমতা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন নি:সঙ্গ ও একা, তার গুনগান করারও কেউ নেই। এই অবস্থা নিরসনে তিনি মানুষ সৃষ্টির পরিকল্পনা করেন তার গুনকীর্তন করার জন্য। আর মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে-আরামে-আয়েশে তার গুনগান করতে পারে এজন্য যাবতীয় এন্তেজাম করেন, আরও অনেক জীব-জানোয়ার-লতা-পাতা-গাছ-গাছরা-পাহাড়-পর্বত-সাগর-নদী ইত্যাদি সৃষ্টি করেন, তন্মধ্যে কেবল আঠারো হাজার মাখলুকাতই সৃষ্টি করেন। মানবজাতিকে তিনি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব আশরাফুল মাখলুকাত হিসাবে সৃষ্টি করেছেন। ঈশ্বর বিশ্বজগত সৃষ্টিই করেছেন এই জীবের কল্যাণে। মানুষ সৃষ্টির অভিপ্রায় না থাকলে ঈশ্বর এই বিশ্বজগতো সৃষ্টি করতেননা।
ঈশ্বর প্রত্যেক মাখলুকাতকে তার আগের স্তরের প্রানী হতে একটি করে বেশী উপাদান দিয়েছেন যা তার আগের স্তরের মধ্যে দেননি। কিন্তু ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করেছেন তার আগের স্তর (বানর) হতে দুইটি উপাদান লোভ আর ভয় বেশী দিয়ে। ঈশ্বর মানুষ ছাড়া আর সব সৃষ্টিকে অর্পিত দায়িত্ব পালনে বাধ্য করেন, আর মানুষকে শুধু দায়িত্ব দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন, দায়িত্ব পালনে বাধ্য করেনা, কেবল পরীক্ষা নেয় কে স্বেচ্ছায় এই দায়িত্ব পালন করে আর কে করেনা। আর এই পরীক্ষার জন্যই ঈশ্বর মানুষের মধ্যে লোভ এবং ভয় নামক দুইটি উপাদান দিয়েছেন। ঈশ্বর তাই মানুষের কৃতকর্মের জন্য স্বর্গ আর নরকের মাঝামাঝি কোন ব্যবস্থা রাখেননি। সেকারনেই মানুষ লোভ অথবা ভয়ের বশবর্তী নাহলে কিছুই করেনা।
ঈশ্বর বিশ্বজগতের কোন কিছুই এমনি এমনি সৃষ্টি করেননি, বিশ্বজগত সৃষ্টিকালে তার সকল সৃষ্টিকে দুইটা জিনিস দিয়েছেন; একটি তার ‘আয়ু’ এবং অপরটি ‘দায়িত্ব’। গাধা, কুকুর, বানর ও মানুষকে যথাক্রমে সর্ব শেষে সৃষ্টি করে দায়িত্ব ও আয়ু দেন। এই ধারাবাহিকতায় গাধাকে ডেকে ঈশ্বর জানান তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে তার প্রানপ্রিয় সৃষ্টি মানুষকে সেবা করার জন্য, গাধা তার জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও মানুষের বোঝা বয়ে বেড়াবে বিনিময়ে বেচে থাকার জন্য নূন্যতম খাবার পাবে যাতে তার দেহ সচল থাকে মানুষের সেবা করার জন্য, এই জন্য গাধার আয়ু ৫০ বছর। গাধা ঈশ্বরের পদাবনত হয়ে মিনতি করে এত কষ্টের জীবন, প্রভূ আমার আয়ু অর্ধেক কমিয়ে দাও। ঈশ্বর দয়াপরবশত বললেন যা তোর আয়ু অর্ধেক কমিয়ে দিলাম। এর পর কুকুরকে ডেকে ঈশ্বর জানান তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে তার প্রিয়তম সৃষ্টি মানুষকে রাত জেগে পাহারা দিতে যাতে তারা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে, মাঝে মাঝে বোঝা বা গাড়ীও টানতে হবে, হাড়-হাড্ডি খেয়েই সারাজীবন বেচে থাকতে হবে, আয়ু ৩০ বছর। কুকুর ঈশ্বরের পদাবনত হয়ে মিনতি করে এত কষ্টের জীবন, প্রভূ আমার আয়ু অর্ধেক কমিয়ে দাও। ঈশ্বর দয়াপরবশত কুকুরের মিনতি মঞ্জুর করেন। এরপর বানরকে ডকে ঈশ্বর জানালেন তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষকে আনন্দ দিয়ে তার মন প্রফুল্ল রাখতে বিনিময়ে কলার খোসা বা ছোলা জাতীয় কিছু খাবার পাবে বেচে থাকার জন্য, আয়ু ২০ বছর। বাণরও ঈশ্বরের কাছে মিনতি করে তার নিজের আয়ু অর্ধেক কমিয়ে নেয়। সবার শেষে ঈশ্বর মানুষকে ডেকে জানান এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করা হয়েছে তোমার ভোগের জন্য। আমার সৃষ্টিকুলের সকল প্রানীই তোমার সেবক, সবই তোমার জন্য কেবল তোমার দায়িত্ব আমার গুনকীর্তন করা। মানুষ করুন মিনতি করে জানায় হে ঈশ্বর তুমি আমার জন্য এতো কিছু করেছ আর আমি মাত্র ২৫ বছরে তোমার আর কতটুকু প্রশংসাই করতে পারব! তুমি আমার আয়ু আরও বাড়িয়ে দাও। সদয় ঈশ্বর বললেন আমার কাছে গাধা, কুকুর আর বানর ছাড়া কারো কোন আয়ু জমা নেই, সবারটা সবাইকে দিয়ে দিয়েছি, তুমি চাইলে ওদের পরিত্যক্ত আয়ু নিতে পার। মানুষ মহা আনন্দে তার নিজেরসহ গাধা, কুকুর ও বানরের আয়ু (২৫+২৫+১৫+১০=৭৫) বছর নিয়ে এই ধরাধামে আগমন করে, তাই নিজেরসহ পরিত্যক্ত আয়ু’র সমষ্টিই পৃথিবীতে মানুষের গড় আয়ু। আর সেই ধারাবাহিকতায় মানুষ যখন যার আয়ু নিয়ে বেচে থাকে তখন তার দায়িত্ব পালন করে। তাই মানুষ জীবনের প্রথমভাগ (২৫ বছর) কাটায় মানুষ হিসাবে মহা আনন্দে, এরপর কর্মজীবনে গাধার খাটুনি খেটে (২৫ বছর), শক্তি কমে গেলে পাহারা দিয়ে (১৫ বছর) আর বৃদ্ধ বয়সে নাতী-নাতনিদের আনন্দ দিয়ে, কেউ কেউ আবার চিরিয়া খানায় (বৃদ্ধাশ্রমে) গণআনন্দ দিয়ে (১০ বছর) ।
ঈশ্বর গাধাকে সৃষ্টি করেছেন পরিশ্রম, কুকুরকে বিশ্বাস আর বানরকে আনন্দ দিয়ে। অন্যান্য উপাদান যা মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সেগুলো মানুষের অজ্ঞাতেই একেক প্রানী মানুষের একেক বৈশিষ্টের ধারক ও বিবর্ধক হিসাবে কাজ করে । কোন বিশেষ মাখলুকাত কোন কারনে বিলুপ্ত হয়ে গেলে মানুষের মধ্যেও ঐ বৈশিষ্ট লোপ পাবে।
যাক অন্য কথায় আসি। মানুষ এখন পর্যন্ত প্রায় সব সৃষ্টির আয়ু জানতে পারলেও তার নিজেরটা ছাড়া অন্য সৃষ্টিকুলের দায়িত্ব সম্পর্কে তেমন কিছু জানতে পারেনি। তবে উল্লেখযোগ্য কিছু উচ্চ স্তরের জীব যেমন গাধা, কুকুর ও বানরকে সৃষ্টিকালে দেয়া আয়ু ও দায়িত্ব সুনির্দিষ্টভাবে জানা গেছে।
মানবকুলের ঐশ্বরিক দায়িত্ব
ঈশ্বর বিশ্বজগতের কোন কিছুই এমনি এমনি সৃষ্টি করেননি, বিশ্বজগত সৃষ্টিকালে তার সকল সৃষ্টিকে দুইটা জিনিস দিয়েছেন; একটি তার ‘আয়ু’ এবং অপরটি ‘দায়িত্ব’। গাধা, কুকুর, বানর ও মানুষকে যথাক্রমে সর্ব শেষে দায়িত্ব ও আয়ু দেন। এদের মধ্যে প্রথমে গাধাকে ডেকে ঈশ্বর জানান তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে তার প্রানপ্রিয় সৃষ্টি মানুষকে সেবা করার জন্য। সে তার জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও মানুষের বোঝা বয়ে বেড়াবে বিনিময়ে বেচে থাকার জন্য নূন্যতম খাবার পাবে যাতে তার দেহ সচল থাকে মানুষের সেবা করার জন্য, এই জন্য গাধার আয়ু ৫০ বছর। গাধা ঈশ্বরের পদাবনত হয়ে মিনতি করে বলল যে এত কষ্টের জীবন, প্রভূ আমার আয়ু অর্ধেক কমিয়ে দাও। ঈশ্বর দয়াপরবশত বললেন যা তোর আয়ু অর্ধেক কমিয়ে দিলাম। এর পর কুকুরকে ডেকে ঈশ্বর জানান তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে তার প্রিয়তম সৃষ্টি মানুষকে রাত জেগে পাহারা দিতে যাতে তারা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে, মাঝে মাঝে বোঝা বা গাড়ীও টানতে হবে, হাড়-হাড্ডি খেয়েই সারাজীবন বেচে থাকতে হবে, আয়ু ৩০ বছর। কুকুর ঈশ্বরের পদাবনত হয়ে মিনতি করে এত কষ্টের জীবন, প্রভূ আমার আয়ু অর্ধেক কমিয়ে দাও। ঈশ্বর দয়াপরবশত কুকুরের মিনতি মঞ্জুর করেন। এরপর বানরকে ডকে ঈশ্বর জানালেন তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষকে আনন্দ দিয়ে তার মন প্রফুল্ল রাখতে বিনিময়ে কলার খোসা বা ছোলা জাতীয় কিছু খাবার পাবে বেচে থাকার জন্য, আয়ু ২০ বছর। বানরও ঈশ্বরের কাছে মিনতি করে তার নিজের আয়ু অর্ধেক কমিয়ে নেয়। সবার শেষে ঈশ্বর মানুষকে ডেকে জানান এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করা হয়েছে তোমার ভোগের জন্য। আমার সৃষ্টিকুলের সকল প্রানীই তোমার সেবক, সবই তোমার জন্য কেবল তোমার দায়িত্ব আমার গুনকীর্তন করা। মানুষ করুন মিনতি করে জানায় হে ঈশ্বর তুমি আমার জন্য এতো কিছু করেছ আর আমি মাত্র ২৫ বছরে তোমার আর কতটুকু প্রশংসাই করতে পারব! তুমি আমার আয়ু আরও বাড়িয়ে দাও। সদয় ঈশ্বর বললেন আমার কাছে গাধা, কুকুর আর বানর ছাড়া কারো কোন আয়ু জমা নেই, সবারটা সবাইকে দিয়ে দিয়েছি, তুমি চাইলে ওদের পরিত্যক্ত আয়ু নিতে পার। মানুষ মহা আনন্দে তার নিজেরসহ গাধা, কুকুর ও বানরের আয়ু (২৫+২৫+১৫+১০=৭৫) বছর নিয়ে এই ধরাধামে আগমন করে, তাই নিজেরসহ পরিত্যক্ত আয়ু’র সমষ্টিই পৃথিবীতে মানুষের গড় আয়ু। আর সেই ধারাবাহিকতায় মানুষ যখন যার আয়ু নিয়ে বেচে থাকে তখন তার দায়িত্ব পালন করে। তাই মানুষ জীবনের প্রথমভাগ (২৫ বছর) কাটায় মানুষ হিসাবে মহা আনন্দে, এরপর কর্মজীবনে গাধার খাটুনি খেটে (২৫ বছর), শক্তি কমে গেলে পাহারা দিয়ে (১৫ বছর) আর বৃদ্ধ বয়সে নাতী-নাতনিদের আনন্দ দিয়ে, কেউ কেউ আবার চিরিয়া খানায় (বৃদ্ধাশ্রমে) গণআনন্দ দিয়ে (১০ বছর) ।
No comments:
Post a Comment